সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
সোমবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য সম্প্রতি তৃতীয়বারের মতো কারেকশন করার চেষ্টা করেছে। চার্টে যেমনটি দেখা যাচ্ছে, আবারও এই প্রচেষ্টা খুব বেশি ভাল ফলাফল এনে দিতে পারেনি। এই পেয়ারের মূল্য তৃতীয়বারের মতো 1.0596 লেভেলের কাছাকাছি পৌঁছেছে কিন্তু এটি যথাযথভাবে ব্রেক করে যেতে ব্যর্থ হয়েছে।
এই লেভেলটি ব্রেক করা যাবে না এমন নয়, তবে যতক্ষণ পর্যন্ত এটি ব্রেক না করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত ইউরোর মূল্যের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করার খুব একটা মানে নেই। সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও ছিল না। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড ইউরোপে একটি বক্তৃতা দিয়েছিলেন, তবে আগের মতোই, তিনি মার্কেটে কোন নতুন বা উল্লেখযোগ্য তথ্য প্রদান করেননি।
এই সপ্তাহে সামগ্রিকভাবে তুলনামূলকভাবে কম অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং কোন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টও অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা নেই। এই মুহূর্তে, ইউরোর মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধির জন্য কোনো স্পষ্ট কারণ নেই।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, সোমবার একটি কার্যকর বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। এই সিগন্যালটি রাতে পাওয়া যায়, তবে ইউরোপীয় সেশন শুরুর আগে এই পেয়ারের মূল্য প্রাথমিক অবস্থান থেকে খুব বেশি মুভমেন্ট প্রদর্শন করেনি। স্বল্প ভলিউমে লং পজিশন ওপেন করা যেত (যদিও সামগ্রিকভাবে এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী বিয়ারিশ প্রবণতা বিরাজ করছে)। দিনের শেষে, এই পেয়ারের মূল্য নিকটবর্তী লক্ষ্যমাত্রা 1.0596-এ পৌঁছায়।
মঙ্গলবারে ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, আবারও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশন হয়েছে। তবে, মার্কেটের ট্রেডাররা ইউরো ক্রয়ের প্রতি বা শর্ট পজিশন থেকে মুনাফা নেওয়ার প্রতি সামান্য আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমরা মনে করি যে নতুন করে খুব বেশি কারেকশন হবে না এবং এটি অব্যাহত থাকার জন্য ইউরোর জন্য সহায়ক প্রতিবেদনের প্রয়োজন হবে। মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে অব্যাহতভাবে মার্কিন ডলার ক্রয় করছে, ফলে ইউরোর জন্য ইতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সম্ভবত অব্যাহত থাকবে।
আমরা মঙ্গলবার পুনরায় এই পেয়ারের দরপতন শুরু হওয়ার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি, কারণ গত সপ্তাহে জেরোম পাওয়েলের মন্তব্যে হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত মার্কেটে এখনো প্রভাব ফেলছে। এছাড়াও, মূল্য এখন পর্যন্ত 1.0596 লেভেলটি ব্রেক করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতাকে আরও শক্তিশালী করছে।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিং করার জন্য 1.0433-1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0845-1.0851, 1.0888-1.0896, 1.0940-1.095 লেভেলগুলো বিবেচনা করা উচিত। মঙ্গলবার, ইউরোজোনে অক্টোবরের মুদ্রাস্ফীতির (দ্বিতীয় অনুমান) প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র কিছুটা স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে যেগুলোর প্রভাবে মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম। এই প্রতিবেদনগুলোর প্রভাবে মার্কেট সেন্টিমেন্টের পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই, যা মার্কিন ডলারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।