Bitcoin Forex Trading with InstaForex

ক্রিপ্টোকারেন্সির আইনি পরিস্থিতি

যদিও বিটকয়েন, প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সি, ১০ বছরেরও বেশি আগে আবির্ভূত হয়েছিল, ডিজিটাল মুদ্রার আইনি অবস্থা এখনও সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। যাইহোক, ভার্চুয়াল অর্থ জনপ্রিয়তা অর্জন করছে, তাই বিশ্ব সম্প্রদায় এবং বিভিন্ন দেশ উভয়েরই এই সমস্যাটি সমাধান করা উচিত। সমস্ত দেশের জন্য প্রচলিত আইনী অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা অকাল, কিন্তু বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র ইতোমধ্যেই ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য আইনি ভিত্তি প্রস্তুত করতে শুরু করেছে। রাষ্ট্রগুলো দুটি প্রধান শিবিরে বিভক্ত। কিছু রাষ্ট্র ভার্চুয়াল অর্থের ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করতে চায়। এই দেশগুলি হল বাংলাদেশ, বলিভিয়া, চীন এবং ইকুয়েডর, সেইসাথে আইসল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, কিরগিজস্তান, লেবানন, রাশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং অন্যান্য। এমন দেশও রয়েছে যারা তাদের অর্থনীতিতে ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রবর্তনের জন্য একটি আইনি কাঠামো তৈরি করতে চায়। এই দেশগুলি হল অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, সাইপ্রাস এবং ডেনমার্ক, সেইসাথে ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং এবং ইসরাইল। ইতালি, জাপান, নিউজিল্যান্ড এবং নরওয়ের পাশাপাশি সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, তুরস্ক, ইংল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য কিছু দেশও ক্রিপ্টোকারেন্সি গ্রহণের পক্ষে দাঁড়িয়েছে।

জাপান এই ইস্যুতে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি দেখিয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে বিটকয়েনকে অর্থপ্রদানের উপায় হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। চীনে শুধুমাত্র ব্যক্তিরা এই ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করতে পারেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নে বিটকয়েনের সাথে লেনদেনগুলিকে মুদ্রা, কয়েন এবং ব্যাংকনোটের সাথে অর্থপ্রদানের মাধ্যম হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তাই বিটকয়েন ইউরোপে করযোগ্য সম্পদ নয়। যাইহোক, ট্যাক্সেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটের ক্যাপিটালাইজেশন রেকর্ড মূল্যে পৌঁছেছে এবং ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের কোন পক্ষই এমন লাভজনক বাজারকে করমুক্ত রাখবে না।

ক্রিপ্টোকারেন্সি এর আইন প্রণেতাদের অনেক পিছনে ফেলে একটি বিশাল পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়েছে৷ অনেক দেশের সরকার এখনও এই বিষয়ে একমত হয়নি এবং সঠিক সংজ্ঞা দিতে পারেনি। কিছু দেশ বিটকয়েনকে একটি সুযোগ দিয়েছে, অন্যরা একটি সহজ পথ নিয়েছে এবং বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যাইহোক, বিকেন্দ্রীকরণ, যা বিটকয়েনের অন্যতম প্রধান সুবিধা, কর্তৃপক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করতে বাধা দেয়। এই কারণেই বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে ক্রিপ্টোকারেন্সি গ্রহণ করা এবং তাদের আইনি অবস্থা সংজ্ঞায়িত করা ছাড়া সরকারের কাছে আর কোনও বিকল্প নেই।